এলাচ ও এলাচের জাত পরিচয়
এলাচ একটি বহুবর্ষজীবি উদ্ভিদ। একটি
দীর্ঘমেয়াদী ফসল।ছায়াযুক্ত স্থানেই মসলার রাণী, এলাচের ভাল উৎপাদন হয় । বন্যামুক্ত
উর্বর দোয়াশ মাটি অথবা পাহাড়ী মাটিতে যেখানে সেচ ও পানি নিষ্কাসনের সুবিধা আছে, সেখানেই
নিশ্চিন্তে করা যায় মুল্যবান এলাচের চাষ। প্রায় ৫০টির অধিক জাতের উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলির পাতা ও কান্ড দেখতে অনেকটা এলাচের মত, তবে ফুল ও ফল দেখতে ডুমুরের মত। এলাচ চাষ বাংলাদেশে নতুন।এলাচের পাতার মত দেখতে একই রকম পাতা বিশিষ্ট অনেক গাছ
থাকলেও মসলা হিসাবে ২ ধরনের এলাচ ব্যবহার হয়ে থাকে। চাষযোগ্য এলাচের ২টি জাত আছে যেগুলি জেনেটিক জাতের এলাচ নামে অনেকের কাছেই সুপরিচিত। দেখতে বড় ও কাল জাতের শাহী
এলাচ (amomum subulatum Roxb.) আর ছোট ও সবুজ জাতের (elettaria cardamomum)প্রচলিত এলাচ। যেহেতু এলাচ গাছে ২.৫-৩ বছর পরে পরিনত গাছে ফুল আসে তাই চারা অবস্থায় অনেকেই প্রকৃত এলাচ চারা চিনতে ভুল করে এবং এই ভুল যখন বুঝতে পারে ততক্ষনে ভুল এলাচের বিনিয়োগ, শ্রম আর সময় সবই নষ্ট হয়ে বিরাট ঝুঁকিতে পতিত হয়ে থাকেন।
আশার কথা হল বাংলাদেশের যেকোন অঞ্চলেই আমাদের দিকনির্দেশনা ও জেনেটিক জাতের এলাচ চারা নিয়ে এখনই শুরু করতে পারেন অত্যন্ত লাভজনক এলাচ চাষ ।আমরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ৮-১০ টি থানায় প্রকৃত এলাচের বাগান স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।


No comments